শাশ্বত ঘোষ লিখেছেন

 

কলকাতা ময়দানে ফুটবলার সুভাষের অভিযেক মাত্র ১৯ বছর বয়সে। তার পরের ১১ বছর দুই প্রধানে তাঁকে নিয়ে দড়ি টানাটানির ইতিহাস ময়দানের অন্যতম সেরা লোকগাথা। প্রথম বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। মাত্র এক মরসুম সেখানে খেলেই যোগ দেন প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগানে। সেখানে তিন বছর খেলে প্রত্যাবর্তন লাল-হলুদে। তিন বছর পরে ফের সবুজ-মেরুনে। আরও তিন বছর সেখানে খেলার পরে তাঁকে ফের সই করায় ইস্টবেঙ্গল। এক বছর সেখানে খেলে ১৯৭৯ সালে অবসর নেন সুভাষ। অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গলে তিনি খেলেছেন পাঁচ বছর (১৯৬৯, ১৯৭৩-৭৫, ১৯৭৯)। আর গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে ছ’বছর (১৯৭০-৭২, ১৯৭৬-৭৮)।

ক্লাব কেরিয়ারে মোট ২৭টি ট্রফি জিতেছিলেন সুভাষ। মোহনবাগানকে দিয়েছিলেন ১৬টি ট্রফি। তাঁর সময়ে ইস্টবেঙ্গল পেয়েছিল ১১টি ট্রফি। কলকাতা লিগ থেকে শুরু করে আইএফএ শিল্ড— কী না ছিল তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটে। কলকাতা লিগ জিতেছেন পাঁচ বার (১৯৭৩-৭৬, ১৯৭৮)। শিল্ড জিতেছেন ছ’বার (১৯৭৩-৭৮)। আট বার জিতেছেন রোভার্স কাপ (১৯৬৯-৭৩, ১৯৭৫-৭৭)। এ ছাড়া দু’বার করে বরদলই ট্রফি (১৯৭৬-৭৭), ডিসিএম ট্রফি (১৯৭৩-৭৪) এবং‌ এক বার করে ফেডারেশন কাপ (১৯৭৮), ডুরান্ড কাপ (১৯৭৭), দার্জিলিং গোল্ড কাপ (১৯৭৬) ও নাগজি ট্রফি (১৯৭৮) জিতেছেন সুভাষ।

১১ বছরের মধ্যে এক মাত্র ১৯৭৯ সালে কোনও ট্রফি জিততে পারেননি তিনি।
মোহনবাগানের হয়ে ছ’বছরে মোট ৮২টি গোল করেছিলেন সুভাষ। তার মধ্যে ছিল চারটি হ্যাটট্রিক। অন্য দিকে লাল-হলুদের হয়ে পাঁচ বছরে ৮৩টি গোল করেছিলেন।