Ex Mohun Bagan official Anjan Mitra passed away this morning at 3-10 am today.
Mitra, a chartered accountant , took charge of Bagan along with his childhood friend Tutu Bose and hold various official posts for the club for more than three decades.
He suffered heart problems and underwent a critical surgery in 2013.
A tribute by Abhijit Roy, member , Mohun Bagan AC-
মৃত মানুষ সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আজ তাই অঞ্জন মিত্রের স্মৃতিচারণ। সে ছিল দোর্দণ্ডপ্রতাপ উমাপতি কুমার,ধীরেন দে,শৈলেন মান্নাদের জমানা। মোহনবাগান ক্লাবের সবুজ লনের বৈকালিক আড্ডায় তখন সাদা ধুতি পাঞ্জাবী পরা ভদ্রলোকদের ভিড়। তাঁরা নীচু স্বরে কথা বলেন। কেউ হেসে উঠলেও মনে হয় অশ্লীলতা । মোহনবাগান তখন স্বদেশী ক্লাব। স্বদেশী প্লেয়ার ছাড়া খেলাবে না। একটা গনগনে আদর্শ সবকিছুতে। সে ফলাফল যাই হোক। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আবার উল্টো। তারা ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে’ নীতিতে বিশ্বাসী । আদর্শ অতো বড় নয়। মজিদ,চিমাদের নিয়ে তাই কামাল করার চেষ্টা। এ হেন সন্ধিক্ষণে মোহনবাগানে টুটু অঞ্জনের উত্থান । মোহনবাগানকে বাবু কালচার থেকে আধুনিক করতে চাইলেন। নিয়ে এলেন চিমাকে। কোচ নায়িমুদ্দিন। মোহন নৌকা এগোল তরতর করে। ট্রফির পরে ট্রফি ঘরে তুললো মোহনবাগান। হারাতে লাগলো চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে। চ্যাম্পিয়ন হলো ন্যাশনাল লীগে। একবার নয়। বারবার।
ক্লাবকে ভবিষ্যৎমুখী পরিকল্পনায় বাঁধতে চাইলেন। তৈরী হল মোহনবাগান সেইল অ্যাকাডেমি। দুর্গাপুরে। সেখানে তৈরী হতে লাগলো ভবিষ্যতের ফুটবলার। তারও আগে নব্বইয়ের দশকে মোহনবাগানের ছোটরা ডেনমার্কে গিয়ে ডানা কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০০৬ তে খেলতে গেছে ম্যানচেস্টারে। ক্লাবের পরিকাঠামো উন্নয়নেও তাঁর নজর ছিল।
তাও প্রদীপের নীচে অন্ধকার থাকে। কিন্তু আজ সে কথা নয়। আমার মোহনবাগান ক্লাবের মেম্বার হওয়া অঞ্জন দার হাত ধরে।ওনার অফিসে। ২০০৫ সালে।
অঞ্জন দা চলে গেলেন।
ভালো থাকবেন অঞ্জন মিত্র।