Rupayan Bhattacharya, a popular sports journalist, had come up with an article that contains so derogatory remarks against Mohun Bagan supporters. Arijit Chakraborty, an ardent Mohun Bagan supporter, questions the credibility of Rupayan’s article.

mohunbaganclub.com publishes the article written by Arijit Chakraborty as is.

মোহনবাগান সমর্থক হিসাবে মাননীয় রূপায়ন ভট্টাচার্য একটি কাগজে আপনার লেখার প্রেক্ষিতে লিখছি ক্ষমতা থাকলে আমার প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
প্রশ্ন ১ : আপনার কানে ধরে এটা কে বললো যে খেলোয়াড়রা অসভ্য? হঠাৎ করে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানির সাথে তুলনায় গেলেন কেনো? আর জাতীয় স্তরে খেলা খেলোয়াড়রা যে এটা করবেননা সেটাই স্বাভাবিক। এসব করেনি বলে তাদের নিয়ে ছবি পোষ্ট করা যাবেনা সেটা কে বলেছে আপনাকে?
প্রশ্ন ২ : নব্য বাঙালী কালচার বলতে গিয়ে বললেন – তুমি যা তার থেকে বেশী করে দেখাও নাহলে তোমার কোনো পাত্তা নেই । তা আপনি কি মনে করেন? জাতীয় দলের ফুটবলাররা প্লেন এ চড়লে , গাড়ীতে চাপলে এটা বেশী লোক দেখানো? আর ট্রেনে জেনারেল কেটে উঠলে ওদের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ঠিক?আপনার লজ্জা করলোনা এই কথাটা লেখার আগে? ওই ট্রেনে যদি ছবি তোলা বা অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য বা ম্যাচ নিয়ে কথা বলার জন্য সবাই ভিড় করে ফেলত খেলোয়ারদের ? তখন আপনি যেতেন তো ওদের সামনে ওদের বাঁচাতে? নাকি তখন আবার উল্টো সুর গেয়ে ফাঁকা আওয়াজ মারতেন কাগজে?
প্রশ্ন ৩ : কয়েকজন খেলোয়ার ট্রেনে ঝুলতে ঝুলতে রোজ আসে বলে জনশতাব্দীতে আসার যে যুক্তি খুজেছেন? সাহস থাকতে আপনি এটা আগে প্রশ্ন করতেন যে কেনো জাতীয় স্তরে খেলার পরেও ওদের অতকষ্ট করতে হয়? কেনো সামান্য আইপিএল খেলা প্লেয়ারদের বিএমডাবলু বা অডি থাকলেও এদের ট্রেনে ঝুলতে হয়? কিন্তু সেটা আপনি করেননি করবেনও না। আপনি চানও না দেশের ফুটবলটা ওই স্ট্যাটাসে যাক। কারন গেলে তো তখন কাগজে দেশ-বিদেশের নামী ফুটবল বিশেষজ্ঞরা লিখবেন কাগজে। আপনার মতো  রিপোর্টারের লেখা আর তখন নেবেনা কাগজের মালিকরা।
প্রশ্ন ৪ : আপনি বলছেন প্রশংসা করতে যে বড় ক্লাবে খেলেও ওদের মাথা ঘোরেনি বলে।  আমরাও খুশী ও গর্বিত যে তাদের মাথা ঘোরেনি। কিন্তু ওই মানষিক চাপ নিয়ে খেলার পড়েও দাড়িয়ে দাড়িয়ে যেতে মাথা ঘোরেনি বলে, সারারাত না ঘুমিয়েও ভিড় কামরায় ঠায় ২-৩ ঘন্টা দাড়িয়ে মাথা ঘোরেনি বলে, অতটা শারিরীক পরিশ্রম করার পড়েও তীব্র গরমে দাড়িয়ে লু সহ্য করে দাঁড়িয়ে থাকার পড়েও মাথা ঘোরেনি বলে।
প্রশ্ন ৫ : আপনার জেনে রাখা দরকার যে ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতার ইন্ডিগোর তিনটি ও এয়ার ইন্ডিয়ার বেশ কয়েকটি ফ্লাইট আছে। আজকালকার দিনে এসব টিকিট কাটাটা কোনো কষ্টের ব্যাপার নয় । আর আপনি কবার চাপেন জানিনা প্লেনে আমরা অনেকেই নিয়মিত যাতায়াত করি । তাই ফ্লাইট পাওয়াটা সোজা নয় বলে যে ভুল কথা আপনি বলেছেন তার জন্য বলি মোবাইলে গোআইবিবো, মেকমাইট্রিপ বলে কিছু অ্যাপ আছে জানেন? শুনেছেন এগুলোর নাম? তাছাড়াও নিয়মিত এসি ভলভো আসে ওখান থেকে।
প্রশ্ন ৬ : ট্রেনটা জনশতাব্দী প্যাসেন্জার ট্রেন নয় বলে দিলেন । আরে দাদা ওই ট্রেনে ওয়েটিং এর টিকিট কেটেও লোকে উঠে যায়। স্টপেজ কম এই যা। ওটা দেশের কোনো এক্সিকিউটিভ গাড়ী নয়। যেটা দামী গাড়ী সেটা হল শতাব্দী এক্সপ্রেস (12278 Puri – Howrah Shatabdi) সেটা একঘন্টা পড়ে আসে কটেকে আর হাওড়াতেও একঘন্টা পড়ে ঢোকে। বিশ্বাস করুন আপনি বোঝেন কিনা জানিনা তবে আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলছি ওটায় উঠলে কোনো বিতর্কই হতোনা।
প্রশ্ন ৭ : মোহনবাগানের ছেলেরা আসল ছবি পোষ্ট করলে নোংরামী আর এই যে প্রবীর দাসের ছবি নিয়ে মিথ্যা প্রচার করলো ওটা খুব ভদ্রতা ছিলো? আর আপনার হিম্মত থাকলে বলবো মোহনবাগান সমর্থকদের নোংরা বলার কারণটা ব্যখ্যা করতে।
প্রশ্ন ৮ : সাংবাদিকদের কর্তব্য জেনে কথা বলা, কারণ মানুষ তাদের কথা পড়ে জানতে পারে অনেক কিছু। সেখানে কে আপনাকে কানে ধরে বললো যে ট্রেনে ফুটবলারদের জোর করে মোহনবাগান সমর্থকরা বসিয়েছে সিটে? না তো ওই কামরায় এক দুজনের বেশী কোনো মোহনবাগান সমর্থক ছিলো আর না তো কোনো খেলোয়ার কোনো মোহনবাগানের সমর্থকের সিটে বসেছে আর হ্যা না তো কোনো মোহনবাগান সমর্থক জোর করে ওদের কিছু করেছে বা ওদের সাথে একটাও অসভ্য ব্যবহার করেছে । ওরা বসেছে হয় মাটিতে (দরজার ধারে) আর না হয় যখন কেউ নেমে গেছে সিট ফাঁকা হয়ে গেছে তখন। আপনি আজকাল এর ওর থেকে শুনে কাগজে ভুলভাল আবোল তাবোল লিখছেন? আর অন্যদিকে ইষ্টবেঙ্গল কর্তাদের ব্রাহ্মণ, ছাগ শিশু আর কুকুরের গল্প শোনাচ্ছেন? সেই এক পাগলের অন্য পাগলকে ‘ এই পাগল এই পাগল’ বলে ডাকার গল্পটা হেবি মনে পড়ছে বিশ্বাস করুন।
যাইহোক আমি এতদিন ভাবতাম আপনি হয়তো ইষ্টবেঙ্গলকে বেশী ভালোবাসেন তাই মোহনবাগানকে নিয়ে মাঝে মাঝে আবোল তাবোল বকেন। কিন্তু আজ মোহনবাগানের ছেলেদের না জেনে নোংরা , অসভ্য বলার পর আমার মনে হচ্ছে খবরের কাগজে লেখার কোনো যোগ্যতা আদৌ আপনার আছে কিনা এটা কাগজের সম্পাদকদের ভেবে দেখা দরকার।
যাইহোক ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থণা করি  যেন সাংবাদিকতা নিরপেক্ষ ভাবে করেতে পারেন। আর লেখার আগে মনে রাখবেন আমদেরও পেটে বিদ্যা আছে আমরাও লিখতে জানি।
জয় মোহনবাগান

ইতি

এক গর্বিত মোহনবাগান সমর্থক

Arijit Chakraborty

[Arijit can be reached at : surobharati@gmail.com]